যা শোনালেন আঁখি আলমগীর..

সুরতাল, বিনোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | 2023-12-28 17:54:35

বৈশাখী টিভিতে ঈদ উপলক্ষে প্রচারিত হলো ‘গানে গানে ঈদ আনন্দ’।
অনুষ্ঠানের তৃতীয় এপিসোড মাতিয়েছেন কন্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর।

এছাড়াও তিনি ছিলেন নাগরিক টিভি’র ‘গানের মেলা’ অনুষ্ঠানে।

যা যা শোনালেন ‘গানে গানে ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানে, নজর বুলিয়ে নেয়া যাক।
‘জোর কা ঝাটকা’, শওকত আলী ইমনের লেখা ও সুরের এই গানটি দিয়েই শুরু হয় অনুষ্ঠান।

তাতেই নেচে ওঠে মঞ্চ যেন।

পরের গানটি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’।

কবির বকুলের লেখা এবং শওকত আলী ইমনের সুর।

আঁখি আলমগীর ‘শ্যাম পিরিতি’ গাইলেন তৃতীয় গান হিসেবে।

গানটির গীতিকার এবং সুরকার শওকত আলী ইমন।

অনেক পছন্দের মানুষ তিনি, বললেন আঁখি আলমগীর।
ঈদ যেহেতু, রিদমিক গান বেশি শুনতে চায় লোকজন।

সেজন্য জে.কে’র লেখা এবং এসআই শহীদের সুরে শুরু করলেন চতুর্থ গান, ‘দে দে দোলা’।

পরের গানটির গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন, সুরকার শওকত আলী ইমন।

কথা এমন- ‘রঙেরও ঘুড়িটা উড়িয়া উড়িয়া, পুবালী বাতাসে ঘুরিয়া ঘুরিয়া, খোঁজে মন, তোমাকে সারাক্ষণ’।

চলচ্চিত্রের গানও গাইলেন আখিঁ আলমগীর, গানে গানে ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানে।
ছয় নাম্বার গান এটি।

গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং সুরকার রুনা লায়লা।

‘গল্পকথা’ গানটি নায়ক আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’ চলচ্চিত্রের।

গানটি যেন পাল্টে ফেললো অনুষ্ঠানের পরিবেশ, একটা বিষণ্ণতা চারিদিকে।
উপস্থাপিকার কথায়ও ফুটে উঠলো সেই রেশ।

আখিঁ ধরলেন পরের গান।

‘বোকা মন’ অ্যালবামের টাইটের ট্রাক ‘বোকা মন’।

গানটি এসেছে রবিউল ইসলাম জীবনের কলম থেকে, সুর করেছেন জে.কে।

অষ্টম গানটির সুরকার আবিদ রনি, লিখেছেন মেহেদী হাসান কিরণ।

আঁখি বললেন-

কিরণ ভাই হচ্ছে একজন ভিডিও মেকার এবং এই একটা গানই উনি জীবনে লিখেছেন এবং এই একটা গানই আমি গেয়েছি। গানটি খুবই মিষ্টি এবং রোমান্টিক। গানের একটা দুইটা লাইনে উনি ইংরেজী এবং হিন্দী নিয়েছেন। খুব সুন্দর করে লিখেছেন গানটা।

নবম গান হিসেবে আঁখি গাইলেন তারই মা খসরু বেগমের লেখা গান।
সুর করেছেন জে.কে।

‘ওই বাঁশির সুরে মন যে বলে, বাঁশরিয়া কই?’- এমন কথার গানটি যেন মঞ্চে ফিরিয়ে আনলো আবারও তুমুল উদ্যোম।

এরপর আখিঁ ধরলেন প্রণব ঘোষ-এর সুর এবং কামরুজ্জামান কাজলের লেখা একটি মেলোডিয়াস গান।

‘গানে গানে ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানে আঁখি শোনালেন একটি অপ্রকাশিত গানও।
এটি ঈদ উপহার দর্শকদের জন্য।

‘এলো এক নতুন প্রহর, খোলা এই আকাশ তলে; হাসিখুশি মন যে সবার, মিশে যায় সাগর জলে।’

এমন কথার গানটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন এবং সুরকার জে.কে।

এরপর বারোতম গান গাওয়া শুরু করলেন আঁখি, ‘কী জাদু করিলা বন্ধু রে’।

দেলোয়ার আরজুদা শরীফ-এর গীতিকথায় এবং রাজেশ ঘোষ-এর সুরে অনুষ্ঠানের সর্বশেষ গান গাইলেন আঁখি।

শেষ হলো অনুষ্ঠান।

থেকে গেলো রেশ।

আরও দীর্ঘ সময় ধরে এমনই প্রাণবন্ত থাকুক আখিঁ আলমগীর, ভক্তরা এর চেয়ে বেশি কিছু চাননা নিশ্চয়ই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর