আর কিছু বলতে হয় না এই কিংবদন্তীর পরিচয় দিতে।
গায়ক, গীতিকার, নৃত্যশিল্পী, অভিনেতা এবং ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
মার্কিন এই পপ গায়কের অসংখ্য গান বাঙালিদেরও মুখস্ত।
এখনও আছে তুমুল কৌতুহল।
বিশেষ করে তার ধর্ম বিষয়ক ইস্যু নিয়ে এখনও অনেকেই তর্ক জুড়ে দেয়।
একটা দল জোর গলায় বলে- মাইকেল তার ধর্ম পরিবর্তন করেছেন এবং মুসলমান হয়ে গেছেন।
নামও নাকি পাল্টে ফেলেছেন তিনি!
এই খবরটি প্রথম বেশ জোড়ালো ভাবে আসে ২০০৮-এর দিকে।
‘ডেইলিমেইল ইউকে’, ‘টাইমস অফ ইনডিয়া’ সহ বড় বড় সংবাদমাধ্যমও প্রকাশ করে খবরটি, নভেম্বরের ২১ তারিখ।
সঙ্গে মাইকেলের একটি বোরখা পরিহিত ছবিও প্রকাশিত হয় বিভিন্ন যায়গায়।
যেটি তোলা হয়েছিলো ২০০৬ সালে, বাহরাইন থেকে।
ইউটিউব সহ অন্য কিছু জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইটে গানটিকে জ্যাকসনের গান হিসেবেই দেখে ফেলে কয়েক কোটি মানুষ।
‘গিভ থ্যাংক্স টু আল্লাহ’ শিরোনামের গানটি এখনও ইউটিউবে খুঁজলে প্রথম ক’টি চলে আসে মাইকেল জ্যাকসনের নাম সমেত।
অথচ, এটি পুরোপুরিই ভ্রান্ত ধারণা লোকের।
যিনি অসংখ্য জনপ্রিয় ইসলামিক নাশিদ গানের স্রষ্টা।
অরিজিনাল গানটি দেখুন এবং শুনুন এখানেঃ
এটিকে জ্যাকসনের গান বলে চালানো হয়েছে কেবল তার ধর্ম পরিবর্তনের ইস্যুটাকে আরও জোড়ালো করতে, আর কিছু নয়।
তাতে হয়তো এক শ্রেণীর লোকের ভীষণ স্বার্থ ছিলো।
সে যাই হোক, এই গানটি কোনোভাবেই জ্যাকসন গাননি এবং এক জীবনে তিনি কখনোই কোনো ইসলামিক নাশিদ গান করেননি।
তিনি কোনো ধর্ম-কর্মও করতেননা।
মাত্র ৫১ বছর বয়সে যদি চলে না যেতেন জ্যাকসন, তাকে হারানোর বেদনা পেতে হতো না ভক্তদের; অন্তত এতো দ্রুত।
তিনি বেঁচে আছেন আজও, প্রবলভাবে, কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে।
আরও পড়ুনঃ