যখনই পশ্চিম আকাশ হয়ে নিদ্রায় যেতে চায় সূর্যিমামা ঠিক তখনই নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় শ্বেত মেঘের ভেলা। শরতের সৌন্দর্যের উপমায় থাকে সাদা আকাশ আর শ্বেত রঙে মুগ্ধতা ছড়ানো কাশফুল। চারপাশে হতে দৃষ্টি কেড়ে নিয়ে মনে ফেরাচ্ছে সতেজতা। এ মনোরম প্রকৃতি অন্তরের গভীরাংশে নাড়া দেয়।
বর্ষার গুড়গুড় শব্দের দিনের শেষে আসে শরৎ। শরতের সাদা-শুভ্রতা নিয়ে দিগন্ত জুড়ে চোখ ধাঁধানো কাশফুলের সমাহার। শ্বেত শুভ্রতার কাশফুলের হাতছানিতে বিমোহিত দর্শনার্থীরা। পথে-প্রান্তরে দেখা মিলে কাশফুলের। কাশফুলের অভয়ারণ্যে মন মিশে একাকার হয়ে ওঠে। জেগে ওঠে প্রাণ।
এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলা সদর পুষ্টকুমারী চড়পাড়া সড়কের দক্ষিণ পাশে।
দেখা যায়, শুধু কাশবনে গিয়ে কাশফুল দেখা নয় বরং কাশফুলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ছে প্রকৃতিপ্রেমী বহু মানুষ। দর্শনার্থীরা নিজে শুধু এ নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করেন না। তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন ভঙ্গিমায় কাশফুলের সাথে ছবি তুলছেন। সাদা কাশফুলের মন মাতানো দোল খাওয়া শীষ দেখতে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন বিকেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মহাসড়কের পাশে কাশফুল থাকায় দর্শনার্থীরা আসতেও সুবিধা হচ্ছে। কাশফুলের শুভ্রতার সৌন্দর্য্য উপভোগ করার পাশাপাশি প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের স্বাক্ষী হতে নিজেরা ছবির ফ্রেমে বন্দী হচ্ছেন।
ঘুরতে আসা লিজা আক্তার বলেন, কাশফুল দেখে মনটা ভরে গেছে। বান্ধবীদের সাথে করে নিয়ে এসেছি। বিকেল বেলার সময়টা ভালোই লাগছে। অনেকেই নিজেদের ভঙ্গিমায় ছবি তুলছেন। দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসেছে। তারাও তাদের মোবাইল দিয়ে নিজেদের ছবি তুলছেণ। ছবি তুলতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ঘুরতে আসা রাকিব হাসান বলেন, বিকেলের বাতাস যেন শীতের আগমনের বার্তা দিচ্ছে। কাশফুলের সমারোহে শৈশবের স্মৃতিগুলোকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। এই অপরূপ সৌন্দর্যের কাছে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
কলেজ পড়ুয়া সাব্বির মিয়া বলেন, ঘুরতে কার না ভালো লাগে, আর যদি চোখের সামনে কাশফুল থাকে তাহলে তো কথায় নেই। আর এই সৌন্দর্য উপভোগ করতেই এখানে আসা। কাশফুল জানিয়ে দিচ্ছে শরৎকালের উপস্থিতি। কাশফুল তার অপরূপ সৌন্দর্য ডানা মেলে ছড়াচ্ছে।