দেশের প্রতি ভালবাসায় সকলের হাতে পতাকা তুলে দিতে চান শুভ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সবুজ ফসলের মাঠ ও মাটির বুকে বীর বাঙ্গালীর তাজা রক্তে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে জীবন বাজি রেখে লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছেন তারা। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বাঙালি জাতির এক অবিস্মরণীয় মাস। দেশেকে ভালবেসে দেশের টানে গর্বের এই প্রতীক বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন পতাকা বিক্রেতা শুভ। মুক্তিযুদ্ধ না দেখলেও দেশকে ভালবেসে সকলের হাতে পতাকা তুলে দিতে চান তিনি৷

চাঞ্চল্যকর যান্ত্রিক শহরে মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন শুভ। ১০ টাকা মূল্যে লাল-সবুজের মিনি পতাকা বিক্রি করছেন এই বিক্রেতা। দেশের পতাকা নজরে পরায় আগ্রহ নিয়ে কিনছেন মানুষজন।

বিজ্ঞাপন

রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানির মোড়ে চোখে পড়ে শুভ'র পতাকা বিক্রির দৃশ্য। আলাপকালে তিনি বার্তা ২৪. কমকে বলেন, ছোটবেলা থাইকা দেশের প্রতি ভালবাসা, আর তহন থাইকা মায়ের দেয়া কিছু জমানো টাকা দিয়া পতাকা বিক্রি শুরু।আমিতো ছোট ছিলাম সবাই পতাকা কিনতো। পতাকা না কেনা মানুষও আমারে ডাইকা পতাকা কিনতো,অনেকে আমার কাছে পতাকা নিয়া আমার মাথায় বাঁইধা দিত। এভাবে পতাকা বিক্রির আগ্রহ আরও বাড়ছে। একেকটি দিবসে পতাকা বিক্রি কইরা ৬-৭হাজার টাকা আরও বেশিও লাভ হয়। বিশেষ কইরা এই বিজয়ের দিবসগুলাতে বিক্রি খুব ভালো হয়। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি জাতীয় এই বিশেষ দিবসগুলোতে পতাকা বিক্রি করি।

তিনি আরও বলেন, আমি রংপুরের লালবাগের স্থানীয় বাসিন্দা। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখি নাই। কিন্তু ছোটবেলা থাইকা মুরব্বিদের কাছে শুনছি, সিনেমা দেখছি। যেই পতাকার জন্যে এদেশের মানুষ মরতেও দ্বিধা করে নাই। আমাদের দেশের পতাকা দেখলেই মনে অন্য রকম আনন্দ লাগে। কেন যেন পরানটা জুরায় যায় পতাকা হাতে নিলেই। আমি দেশকে ভালাবাসি, দেশের সবার হাতে পতাকা তুলে দিতে চাই৷

বিজ্ঞাপন

জাতীয় দিবসগুলকে ঘিরে শহরে জমজমাট মানুষের উপস্থিতিতে সাড়া পান পতাকা বিক্রেতারা। বিজয়ের মাসকে ঘিরে শহরে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি।