ভাসমান কারা? যাদের ঘর নেই, দেশ নেই, এড্রেস নেই, তারাই। সমাজতাত্ত্বিকরা বলেন ভাসমানের আছে দুই প্রকার—১. যারা নিরুপায় ভাসমান, ২. যারা খেয়ালি ভাসমান। যেমন লেখক ওরহান পামুক দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাসমান। কিন্তু যারা নিরুপায় ভাসমান তাদের অবস্থা বেশ করুণই।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নিরুপায় ভাসমান মানুষের সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ। ‘চ্যারিটি শেল্টার’ নামে একটি সংস্থা জানাচ্ছে ২০১০ সালে দেশটিতে কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গৃহহীনদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ডয়েচে ভেলে ও ইউরোপিয়ান বাংলা নামের দুটি গণমাধ্যম এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
২০১১ সালের তুলনায় যুক্তরাজ্যে ২০১৯-এর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরুরিকেন্দ্রে নেওয়া লোকের সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ৬০ ভাগ। আর এ সময়ের মধ্যে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে অর্ধেকের বেশি। দেশটির অনেক শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গৃহহীনদের সহায়তায় আগামী তিন বছরের জন্য ৭৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
তবে দেশটিতে ঘরহীন মানুষের সংখ্যার তুলনায় এ সাহায্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় ও শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় গৃহহীন বিষয়ক গবেষক ফিলিফ গ্রোথ ও জন ডিন।
জনগণের জন্য সরকারের দেওয়া সমাজকল্যাণ ও গৃহসুবিধা কমিয়ে আনা নীতির কারণেই দেশটিতে গৃহহীনদের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করেন এ দুই গবেষক। পাশাপাশি সরকারের দেওয়া গৃহভর্তুকির তুলনায় দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বাসা ভাড়া অনেক বেশি।
বাসা ভাড়ার এ ব্যয় মেটাতে না পেরে অনেকেই রাস্তায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে মনে করে ‘চ্যারিটি শেল্টার’ নামে সংস্থাটি।