যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ উদযাপনের শুভ সূচনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকালে জেনেভাস্থ জাতিসংঘ দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ অন্যান্য প্রকাশিত লিখনীর ওপর আলোকপাত করা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ বিচরণের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত বিভিন্ন ব্যানার ও ছবি নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী এবং প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জাতির পিতার জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতায় কেক কাটা হয়।
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ পরিক্রমায় সংঘটিত বিভিন্ন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষের এই মাহেন্দ্রক্ষণ বাঙালি জাতির জন্য বিশেষ আনন্দের ও গৌরবের।
এ সময় তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সবাইকে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানান এবং বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শ বিশ্ব পরিমণ্ডলে যথাযথভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে বিশ্ব দরবারে সুপরিচিত করার জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের সচেষ্ট থাকার অনুরোধ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ধারাবাহিকতায় সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশি প্রবাসী এবং বিদেশি কূটনীতিকদের অংশগ্রহণে একটি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষের উদ্বোধন করার পরিকল্পনা থাকলেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সুইজারল্যান্ড সরকার কর্তৃক সকল প্রকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষিতে এ অনুষ্ঠানের আকার ও প্রকৃতিতে পরিবর্তন করে দিবসটি উদযাপন করা হয়।