বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহতার পর ওমিক্রন কিছুটা স্বস্তি দিলেও কয়েকটি দেশে শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রনেরই আরেকটি সাব ভ্যারিয়েন্ট। যার বিস্তার নিয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান।
ওমিক্রনের স্বাভাবিক রূপটির নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন বিএ.১ (BA.1)। এরই মধ্যে ওমিক্রনের আরেকটি উপধারা বিএ.২ (BA.2)- বিএ.১ কে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেছে ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু দেশে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ী ওমিক্রনের স্বাভাবিক বা আগের ধরন।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, কিছু কিছু দেশে নতুন এ বিএ.২ উপধারাটির সংক্রমণ এখন বাড়ছে। তবে এখানেই শেষ না। বিএ.১ এবং বিএ.২ ছাড়াও ওমিক্রনের আরও দুটি উপধারা বিএ.১.১.৫২৯ এবং বিএ.৩ তালিকাভুক্ত করেছে সংস্থাটি।
জেনেটিক গঠনের ভিত্তিতে সবগুলো উপধরনই ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু এদের আলাদা উপধারা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে যেসব মিউটেশনের জন্য, সেই জিনগত পরিবর্তনের কারণেই এদের প্রত্যেকের কার্যকারিতায় রয়েছে কিছু পার্থক্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো করোনাভাইরাস পরীক্ষার র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে শনাক্ত করা যায় বিএ.২ ও। তবে ওই সংক্রমণের জন্য কোন ভ্যারিয়েন্ট দায়ী তা এখনও ঠিকঠাক নিশ্চিত করা যায়নি।
প্রাথমিক কিছু গবেষণায় পাওয়া তথ্যের বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বিএ.১ ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও অস্বাভাবিক দ্রুত সংক্রামক এই বিএ.২ উপধরন।
ডা. ইগন ওজার। শিকাগোর নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ফেইনবার্গ স্কুল অফ মেডিসিনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, যাদের শরীরে বিএ.১ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তা দিয়ে বিএ.২ থেকে রক্ষা পাবেন কিনা, সেটিই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।