করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ৯২ শতাংশ দেশেই স্বাভাবিক টিকাদান কর্মসূচির মত মৌলিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং এইডসের মতো রোগের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
মহামারির প্রভাবের ওপর বিশ্বের ১২৯টি দেশে জরিপ চালিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে পরিচালিত সমীক্ষার ফলাফল সোমবার (০৭ জানুয়ারি) প্রকাশ করা হয়, যাতে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সমীক্ষার ফলাফল বলা যায়, এসব দেশে স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রমগুলো মহামারির কারণে ‘মারাত্মক বিঘ্নিত’ হয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, কোথাও কোথাও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে খুব সামান্য, কোথাও আবার একদমই উন্নতি হয়নি।
ডব্লিউএইচও বলেছে, এই সমীক্ষার ফল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রধান চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা, স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব সামলানোর জন্য জরুরি উদ্যোগ গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
ডব্লিউএইচও সমীক্ষায় দেখা গেছে, জরুরি পরিষেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স ৩৬ শতাংশ দেশে মানের অবনতি হয়েছে। ২০২১ সালের প্রথম সমীক্ষায় এরকম দেশের হার ছিল ২৯ শতাংশ। আর ২০২০ সালে চালানো প্রথম সমীক্ষায় ছিল ২১ শতাংশ।
সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৯ শতাংশ দেশে কোমর ও হাঁটু প্রতিস্থাপনের মত অপারেশন ব্যাহত হয়েছে। সমীক্ষার প্রায় অর্ধেক দেশে পুনর্বাসন সেবা ও প্যালিয়াটিভ কেয়ারের মত সেবায় শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, মহামারি শুরুর আগে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে দুর্বলতাগুলো ছিল, সেগুলোও পরিস্থিতির এতটা অবনতির পেছনে ভূমিকা রেখেছে। আবার
২০২১ সালের শেষের দিকে অনেক দেশে অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য ওমিক্রন ধরনের কারণে হাসপাতালে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে।