করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের তাণ্ডবে বিশ্বে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ৯০৫ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪৮ জনে।
২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৭ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৭ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে জার্মানিতে। এই সময়ে সবচেয়ে মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এরপরই রয়েছে রাশিয়া, ভারত, স্পেন, পোল্যান্ড, মেক্সিকো ও ইউক্রেনের মতো দেশগুলো।
জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৬ জন এবং মারা গেছেন ২৭৯ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৯২৮ জন শনাক্ত এবং ১ লাখ ২১ হাজার ২০৩ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৬ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৪১৯ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭ কোটি ৯৭ লাখ ৮৪ হাজার ২১৯ জন শনাক্ত এবং ৯ লাখ ৫২ হাজার ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৭৪৮ জন। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৩৮৩ জনের।
২৪ ঘণ্টায় স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ১০৮ জন এবং মারা গেছেন ৪৪৪ জন।
প্রতিবেশী ভারতে করোনা পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে ভালোর দিকে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩৮ জন এবং নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৯৮৪ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৭ লাখ ৫২ হাজার ৫৪২ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৪১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।