বায়ুদূষণের দিক থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বিশ্বের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দূষণ প্রযুক্তি সংস্থা আইকিউএয়ারের বিশ্বের বায়ুর মান প্রতিবেদন-২০২১ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর ৪০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।
২.৫ মাইক্রোন বা তার চেয়ে ছোট ব্যাসের বায়ু কণা ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে এবং রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে। যা কার্ডিওভাসকুলার এবং শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমের ক্ষতি করে। বায়ু দূষণের করণে স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত বছর ডব্লিউএইচও তার বায়ুমান নির্দেশক গাইডলাইন পরিবর্তনের পর জানায়, পিএম২.৫ নামে পরিচিত ছোট এবং বিপজ্জনক বায়ুকণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে এরচেয়েও কম ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সামগ্রিক বায়ু মান বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বায়ুতে প্রাণঘাতী পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-২.৫ এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ছিল ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ; যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া সীমার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। এর আগে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশে পিএম-২.৫ এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ছিল যথাক্রমে ৯৭.১, ৮৩.৩ ও ৭৭.১ মাইক্রোগ্রাম।
বাংলাদেশের পরই এই তালিকায় আছে আফ্রিকার দেশ চাঁদ, পাকিস্তান তৃতীয়, তাজিকিস্তান চতুর্থ এরপরই রয়েছে জনবহুল দেশ ভারত।
আইকিউএয়ারের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বের মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ শহর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত বায়ুমানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। তবে বিশ্বের ৯৩টি শহরে পিএম২.৫ এর মাত্রা ডব্লিউএইচওর প্রস্তাবিত স্তরের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ছিল।