সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ফলে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে হয়েছে তাদের। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। খবর বিবিসির।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার অন্যতম এক কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ। এ ছাড়া ইথিওপিয়া ও কঙ্গোতে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের কারণে অনেক মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটা একটি কঠোর পরিসংখ্যান, যা উদ্বেগজনক ৷ এটি এমন একটি রেকর্ড যা কখনও সৃষ্টি করা উচিত নয়। নিরপরাধ মানুষদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হওয়ার পেছনে যে ধ্বংসাত্মক দ্বন্দ্ব ও নিপীড়ন রয়েছে তা অবসানে সোচ্চার হতে হবে আমাদের।
ইউএনএইচসিআর যে তথ্য দিয়েছে সেখানে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী ও নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের শেষ নাগাদ ৬ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনের যুদ্ধে দেশের মধ্যে ৮০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ বিদেশে পালিয়েছে।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বাস্তুচ্যুতির কারণগুলো মোকাবিলার জন্য পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মানবিক সহায়তা শুধু বাস্তুচ্যুতির পরিণতিগুলোর চিকিৎসা করছে। বাস্তুচ্যুতি রোধ করার একমাত্র উপায় হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, যাতে নির্দোষ মানুষেরা ঘরবাড়ি ছেড়ে নির্বাসনে যেতে বাধ্য না হয়।