কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে ধরা পড়েছে ৩০০ কেজি ওজনের একটি মাছ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে ‘বোরামি’ নামে পরিচিত এ মাছটি এখন পর্যন্ত নথিভুক্ত হওয়া ‘সবচেয়ে বড়’ মিঠা পানির মাছ।
সোমবার (২০ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৩ জুন দৈত্যাকার আকৃতির ৩০০ কেজি ওজনের মাছটি ধরা পড়ে।
এর আগে, ২০০৫ সালে থাইল্যান্ডে ২৯৩ কেজি ওজনের একটি ক্যাটফিশ ধরা পড়েছিল। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ওই ক্যাটফিশই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির মাছ।
যদিও বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিঠা পানির মাছের কোনো সরকারি রেকর্ড বা ডাটাবেস নেই।
এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মেকং নদী জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ হলেও অতিরিক্ত মাছ ধরা, বাঁধ এবং দূষণের কারণে নদীটির ভঙ্গুর বাস্তুসংস্থানকে আরও হুমকির মুখে ফেলেছে। এটি তিব্বত মালভূমি থেকে চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনাম হয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জীববিজ্ঞানী ও যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা রেনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেব হোগানের মতে, ছয়টি মহাদেশের নদী ও হ্রদে বিশালাকার মাছ নিয়ে গবেষণার ২০ বছরে, এটিই সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে বড় মিঠাপানির মাছ। এর আগে বিশ্বের আর কোথাও এত বড় মাছ ধরা পড়ার কোনো রেকর্ড নেই।
তিনি আরও বলেন, এই মাছটি খুঁজে পাওয়া এবং তা নথিভুক্ত করতে পারা অসাধারণ ঘটনা। এটি আরও বেশি ইতিবাচক কারণ, মাছটি বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা মেকং নদীতে ধরা পড়েছে।
গত ১৩ জুন রাতে কম্বোডিয়ার কোহ প্রিয়াহ দ্বীপের স্থানীয় একজন জেলের জালে ধরা পড়ে মাছটি। পরে খবর পেয়ে গবেষকরা সেখানে যান। এরপর জানা যায়, মাছটি ৩ দশমিক ৯৮ মিটার লম্বা, ২ দশমিক ২ মিটার চওড়া এবং ওজন ৩০০ কেজি।
ডা. হোগান বলেন, সন্ধ্যার দিকে মাছটি মেকংয়ের ঘোলা জলে অদৃশ্য হয়ে যায়।