বিক্ষোভ দমাতে কলম্বোয় কারফিউ জারি

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 11:36:04

৭০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটে দিশেহারা শ্রীলঙ্কার মানুষ। সংকট নিরসনে ব্যর্থতার অভিযোগে আজ শনিবার (০৯ জুলাই) সরকার বিরোধী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দেশটির জনগণ। এমন পরিস্থিতিতে দ্বীপরাষ্ট্রটির রাজধানী কলম্বোয় জারি করা হয়েছে কারফিউ। খবর এনডিটিভির।

শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান চন্দনা বিক্রমারত্নে জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার (০৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কলম্বো ও এর আশপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করেছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে। আর কারফিউ চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এসময় বলা হয়, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীকে যে কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক দল, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, নাগরিক অধিকার কর্মী, কৃষক এবং জেলেরা কলম্বোতে একটি বড় জনতার প্রতিবাদ মিছিলের পরিকল্পনা করেছেন।

বিক্ষোভকারীরা আইজিপির কারফিউ আদেশকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছেন এবং দাবি করেছেন যে শ্রীলঙ্কার আইনে কারফিউ জারি করার কোনও কর্তৃত্ব পুলিশ প্রধানের নেই। তারা অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বার অ্যাসোসিয়েশন অব শ্রীলঙ্কা (বিএএসএল) দাবি করেছে পুলিশ অধ্যাদেশে কারফিউ আরোপের বিধান নেই। এবং সতর্ক করে বলেছে, কারফিউ আদেশ প্রত্যাহার করতে ব্যর্থ হলে দেশের জন্য মারাত্মক পরিণতি হবে।

বিএএসএল প্রেসিডেন্ট সালিয়া পেরিস বলেন, কারফিউ ঘোষণার উদ্দেশ্য স্পষ্টতই মতপ্রকাশ এবং ভিন্নমতের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা। যা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং অগণতান্ত্রিক। যা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এবং এর সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটি শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক অবস্থানকে প্রভাবিত করবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা শ্রীলঙ্কার জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য এবং এই ধরনের অধিকার রক্ষার জন্য তাদের নিষ্পত্তির সব শান্তিপূর্ণ উপায় ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানাই।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলম্বোতে ৬ হাজারের বেশি সামরিক ও পুলিশকে তলব করা হয়েছে।

নিরাপত্তা ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংসতা ও সংঘর্ষের আশঙ্কায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় শ্রীলঙ্কা সরকারকে সমাবেশে পুলিশকে সংযম দেখানোর এবং সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সকল প্রচেষ্টা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর