১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দীর্ঘ এক যুগের শাসন ক্ষমতার পর রাজাপক্ষে পরিবারের করুণ পরিণতি ঘটেছে। দেশটিতে খাবার নেই, তেল নেই— ভেঙে পড়া রাজনৈতিক কাঠামো গোটা দুনিয়ার সামনে শ্রীলঙ্কাকে একটা উদাহরণ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রায় এক ডজন দেশ এখন বিপর্যয়ের খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনেএমন তথ্য উঠে এসেছে।
দেশগুলোর বৈদেশিক ঋণ, মুদ্রাস্ফীতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যা ভবিষ্যতের জন্য চরম বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন, মিশর, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, এল সালভাদর, ইকুয়েডর, বেলারুশ, নাইজিরিয়া, পাকিস্তানের মতো দেশ।
সমীক্ষায় পাকিস্তানকে নিয়ে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রেকর্ড পরিমাণে অবনমন হয়েছে পাকিস্তানি মুদ্রার। পাকিস্তানে তেল আমদানির বোঝা এতটাই বেড়েছে যে সে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও তলানিতে ঠেকেছে। এই অঙ্ক এখন এতটাই কম যে আগামী পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত আমদানি চালিয়ে যেতে পারবে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের রাজস্ব আদায়ের ৪০ শতাংশ ঋণের সুদ দিতেই খরচ হয়ে যায়। ফলে শাহবাজ় শরিফের নতুন সরকারকে খরচ কমাতে হবে বিরাট ভাবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অর্থনৈতিক সংকটের কথাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে।
আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার পাশে থাকা বেলারুশকেও পশ্চিমা দুনিয়ার বিষ নজরে পড়তে হবে।