গ্রিসে বিধ্বস্ত হওয়া কার্গো বিমানটি ল্যান্ড মাইনসহ ১১ টন অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছিল।
রোববার (১৭ জুলাই) দেশটির ফায়ার ব্রিগেড ও রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে এখবর জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসি জানায়, শনিবার (১৬ জুলাই) সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাওয়ার পথে কার্গো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিশাল কার্গো প্লেনে ক্রুসহ আটজন আরোহী ছিলেন।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নেবোজা স্টেফানোভিচ বলেছেন, কার্গো বিমানটি ল্যান্ড মাইনসহ ১১ টন সার্বিয়ার তৈরি অস্ত্র বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে এটি জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারতে যাত্রাবিরতি করার কথা ছিল।
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, কার্গো বিমানটিতে ল্যান্ড মাইনসহ ১১ টন অস্ত্র ছিল। এগুলো বাংলাদেশে যাচ্ছিল বলে তারা জানায়।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিভি ইআরটি জানিয়েছে, ইউক্রেন ভিত্তিক এয়ারলাইন দ্বারা পরিচালিত আন্তোনভ অ্যান-১২ কার্গো বিমানটি সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাচ্ছিল। ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে পাইলট জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিলেন কিন্তু বিমানের সিগন্যাল হারিয়ে ফেলে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনের ত্রুটি দেখা দেওয়ায় পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু রানওয়েতে আর পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, প্লেনটিতে ৮ জন আরোহী ছিলেন।
দেশটির সেনাবাহিনী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ এবং গ্রীক পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মীরা ঘটনাস্থল নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।