মহাশূন্যে এক গ্রহাণুকে তার গতিপথ থেকে সরিয়ে দিতে ধাক্কা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার পাঠানো একটি মহাকাশযান। এতে গ্রহাণুর গতিপথ কতটুক পরিবর্তন হয়েছে তা জানতে কয়েক দিন, এমনকি সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১৪ মিনিটে এ সংঘর্ষ ঘটে। পুরো ঘটনাটি বিভিন্ন টেলিস্কোপের সাহায্যে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপও।
নাসার পরীক্ষামূলক এই অভিযানে দেখা হচ্ছে, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এমন গ্রহাণুকে তার গতিপথ থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়া যাবে কিনা। পরীক্ষাটা চালানো হয়েছে ডাইমরফোস নামে একটি গ্রহাণুর ওপর।
নাসার এই ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা সংক্ষেপে ডার্ট মিশনের লক্ষ্য হলো, বড় আকারের একটি পাথরখণ্ডকে পৃথিবীতে আঘাত হানা থেকে থামানো ঠিক কতটা কঠিন হবে সে সম্পর্কে ধারণা করা। পৃথিবী থেকে এক লাখ ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে ডাইমরফোস নামের একটি গ্রহাণুতে আঘাত হানে মহাকাশযানটি।
নাসা জানিয়েছে, গ্রহাণুটির পৃথিবীতে দিকে আসছে না। এই পরীক্ষার মাধ্যমে সেটিকে পৃথিবীর দিকে ধাক্কা দিয়ে পাঠানোর কোনো সম্ভাবনাও নেই।
১৬০ মিটার চওড়া ডাইমরফোসে ঘণ্টায় ২০ হাজার কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে মহাকাশযানটি।
এর ফলে ডাইমরফোসের গতিপথ সামান্য পরিবর্তিত হয়ে ডিডিমোস নামের আরেকটি বড় গ্রহাণুর চারদিকে আবর্তিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডার্টের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে ১৪ কেজি ওজনের একটি 'কিউবস্যাট', যার কাজ হলো সংঘর্ষের পর ভিডিও ধারণ করা। ৫০ কিলোমিটার দূর থেকে ছবি তুলে কিউবস্যাটটি সেগুলো পৃথিবীতে পাঠাবে।
ডাইমরফোসের মতো একটি গ্রহাণু যদি পৃথিবীতে আঘাত হানে, যদিও এর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, এটি প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা দুইশ' মিটার গভীর গর্তের সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে আশেপাশের এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে ব্যাপক।