নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ ওমিক্রন বিএফ-৭। চীনে ইতিমধ্যে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। চীনের সেই উপরূপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ভারতেও।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানিয়েছেন, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর টিকাকরণের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য।
গবেষকরা বলছেন, এই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আরটিপিসিআর পরীক্ষাতেও শনাক্ত করা সম্ভব হয় না ওমিক্রন বিএফ-৭। ফলে এখনও যারা করোনা টিকাপ্রাপ্ত নন, তাদের এই নতুন উপরূপের দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ বা অন্য কোনও কো-মর্বিডিটি থাকলে এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
শীতকাল মানেই সর্দিকাশি, জ্বরের মৌসুম। কমবেশী সকলেই এই সমস্যায় ভুগছেন। ঠান্ডা লেগেছে মানেই যেমন করোনা নয়, তেমনই ঠান্ডা লাগলেও তা সাধারণ ভেবে এড়িয়ে যাওয়া এই পরিস্থিতিতে কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সুরক্ষিত থাকতে তাই সবচেয়ে আগে জেনে নেওয়া জরুরি ওমিক্রন বিএফ-৭-এর উপসর্গগুলোর ব্যাপারে।
করোনার বাকি উপসর্গের সঙ্গে এর তেমন কোনও বৈসাদৃশ্য নেই। জ্বর, সর্দিকাশি, গলাব্যথা, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ রয়েছে। এছাড়াও মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাসে সংক্রমিত কোনও ব্যক্তি একই সঙ্গে ১০-১৮ জনের মধ্যে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে পারেন। সবচেয়ে চিন্তার ব্যাপার, সব সময় যে উপসর্গ দেখা দেবেই, তার কিন্তু কোনও মানে নেই। নীরবে এসে বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। ফলে অত্যন্ত সাবধানে থাকা জরুরি।
তাই মাস্ক পরার অভ্যাস নতুন করে শুরু করা উচিত। ভিড় বাসে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। অতিমারির সময় ঠিক যে যে সুরক্ষাগুলো নিতেন, আবার তা নেওয়া শুরু করুন। টিকা নেওয়া না থাকলে অবশ্যই তা নিয়ে নিন। বাড়ির বয়স্ক এবং ছোট শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা নিন। স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করুন।