নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণায় তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনস। বর্তমানে তিনি দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে ক্রিস হিপকিনস দল মনোনীত একমাত্র প্রার্থী হলেও রোববার (২২ জানুয়ারি) তাকে পার্লামেন্টে লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেতে হবে।
যদি তিনি সমর্থন পান, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হতে আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকবে ক্রিসের জন্য। কারণ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জেসিন্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্নর জেনারেলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এরপর গভর্নর জেনারেল রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষে ক্রিসকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
লেবার পার্টি থেকে ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের নভেম্বরে তাকে কোভিড-১৯ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। করোনা মোকাবিলায় তার নেওয়া পদক্ষেপ দারুণ প্রশংসিত হয়।
গত বছরের মাঝামাঝিতে দেশটির পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্রিস হিপকিনস। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা, জনসেবা মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পার্লামেন্টে দলীয় নেতার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আইনপ্রণেতা হিসেবে পার্লামেন্টে আসার আগে ক্রিস শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়েও কাজ করেছেন।
এদিকে, জনমত জরিপ অনুসারে মূল্যস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান সামাজিক বৈষম্যের কারণে জেসিন্ডা আরডার্নের জনপ্রিয়তা সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে।
হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেসিন্ডা আরডার্ন। আগামী ১৪ অক্টোবর দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হচ্ছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।