উত্তর কোরিয়া নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সতর্কতা হিসাবে তারা তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী কঠিন-জ্বালানিচালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) তথ্য অনুসারে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের তত্ত্বাবধান করছেন দেশটির নেতা কিম জং-উন।
কেসিএনএ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) জানিয়েছে কিম বলেন, ‘হাসোয়াং-১৮ উৎক্ষেপণ শত্রু শক্তির প্রতি স্পষ্ট সংকেত পাঠিয়েছে এবং দেশের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের উন্নয়নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নতুন কাজ নির্ধারণ করেছে।’
উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম ডেমোক্রেটিক পিপলসের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করে কিম বলেছেন, ‘সফল উৎক্ষেপণটি ডিপিআরকের সশস্ত্র বাহিনীর ভয়ানক আঘাত করার ক্ষমতা এবং নিখুঁত পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধের প্রকৃত অবস্থা এবং নির্ভরযোগ্যতার একটি বাস্তব প্রদর্শনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী এবং তাদের দালাল বাহিনীর সংঘাতের জন্য দুষ্ট উচ্চাকাঙ্ক্ষা হ্রাস পাবে না।’
ওই ক্ষেপণাস্ত্র, যা তাত্ত্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।
উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান।
কিন্তু, ক্রমাগত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিন্দা সত্ত্বেও তার গোপন দেশ শাসন করার জন্য তার পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম কিমের অধীনে পারমাণবিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নে অগ্রগতি অর্জন করেছে উত্তর কোরিয়া।
পিয়ংইয়ং ২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে এবং গত বছর নিজেকে একটি অপরিবর্তনীয় পারমাণবিক শক্তি হিসাবে ঘোষণা করেছে।