পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের জন্য বেশিরভাগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছে ভারতের মুম্বাইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার কুচক্রী হাফিজ সাঈদের নের্তৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লীগ (পিএমএমএল)।
দলটি বলেছে, তারা পাকিস্তানকে একটি ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্র বানাতে আগ্রহী।
প্রসঙ্গত, লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদ একাধিক সন্ত্রাসী মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাত-উদ-দাওয়ার (জেইউডি) অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন।
পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লীগ (পিএমএমএল) হাফিজ সাঈদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল এবং দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘চেয়ার।’
এনডিটিভি জানিয়েছে এক ভিডিও বার্তায় পিএমএমএল সভাপতি খালিদ মাসুদ সিন্ধু বলেছেন, তার দল বেশিরভাগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই দুর্নীতি করার জন্য নয় বরং জনগণের সেবা করতে। আমরা পাকিস্তানকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।’
সিন্ধু লাহোরের প্রার্থী যে আসন থেকে দাঁড়িয়েছেন সেই আসনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ প্রধান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
লাহোরের অন্য একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাঈদের ছেলে তালহা সাঈদ।
যদিও সিন্ধু সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দাবি করেছেন যে, ‘পিএমএমএল-এর সঙ্গে হাফিজ সাঈদের কোনও সম্পর্ক নেই।’
কারণ, জাতিসংঘ কর্তৃক মনোনীত সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদকে ধরতে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
সাঈদের নেতৃত্বাধীন জেইউডি হলো লস্কর-ই-তৈয়বার অগ্রগামী সংগঠন, যেটি ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা চালানোর জন্য দায়ী, যে হামলায় আমেরিকানসহ ১৬৬ জন নিহত হয়েছিল।