মুদ্রাস্ফীতির কারণে উত্তর আমেরিকান দেশ কানাডায় বাড়ি নির্মাণ অনেকটাই ধীর হয়ে গেলেও চাহিদা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে অন্যতম শীর্ষ পছন্দের গন্তব্য হওয়ায় প্রতিবছর দেশটিতে পাড়ি জমান বহু শিক্ষার্থী। এতেই আবাসন সংকট তীব্র হচ্ছে ধারণা করে বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিটিভি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেন, ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকার এই বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি বিরক্তিকর সিস্টেম যা সত্যিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।’
রোববার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্ক মিলার জানিয়েছেন, মূলত নাগরিকদের আবাসন ক্রয়ক্ষমতার সংকটের জন্য কানাডার সরকার সম্প্রতি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নিতে ও বয়স্ক জনসংখ্যাকে সমর্থন করার জন্য অভিবাসনের ওপর নির্ভর করে থাকে দেশটি। তবে আবাসন সংকটের জন্যও অভিবাসী এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৃদ্ধিই দায়ী। দ্রুতই এর হার কমিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অবশ্য কানাডা সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ঠিক কতটা কমানোর কথা বিবেচনা করছে তা তিনি বলেননি। এছাড়া মিলারের মুখপাত্রের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি বলেও জানিয়েছে রয়টার্স।
উল্লেখ্য, কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সক্রিয় ভিসাসহ ৮ লাখেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী কানাডায় অবস্থান করছিলেন। ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৫ হাজার। ক্রমেই আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশটি। তাই এখনই লাগাম টানা প্রয়োজন বলে মন্তব্য অভিবাসন মন্ত্রীর।