মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকান হামলাও জঙ্গিদের দমন করতে পারেনি, হুথি বাহিনী মার্কিন মালিকানাধীন জাহাজে বৃহস্পতিবার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন তিনি। এসময় গোষ্ঠীটির ওপর মার্কিন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন বাইডেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
এইকে ওয়াশিংটনে বাইডেনকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হুথি লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন হামলায় কাজ হচ্ছে কি-না। জবাবে তিনি বলেন ‘না।’
সাংবাদিকরা জানতে চাইলেন, ‘তারা কি হামলা চালিয়ে যাবে?’ এর জবাবে বাইডেন বললেন, ‘হ্যাঁ।’
এইকে মার্কিন জাহাজে হুথিদের ড্রোন হামলা পর বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে পঞ্চম দফা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, মার্কিন বাহিনী ‘হুথি ক্ষেপণাস্ত্রের একটি রেঞ্জ জব্দ করেছে’ যেগুলো লোহিত সাগরের দিকে ছোঁড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আবারও আমেরিকা হামলা করেছে।
একটি বিবৃতিতে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, তারা বৃহস্পতিবার ‘দুটি হুথি-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর হামলা চালিয়েছে যেগুলো দক্ষিণ লোহিত সাগরে লক্ষ্যবস্তু করে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত ছিল।’
স্থানীয় সময় দুপুর ১:৪০টা নাগাদ ‘ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মার্কিন বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে’ এবং সেগুলোকে এই অঞ্চলে বণিক জাহাজ এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজের জন্য একটি আসন্ন হুমকি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ইউএস সেন্ট্রাল কমানন্ডের মতে, ‘ইউএস বাহিনী পরবর্তীতে আত্মরক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ধ্বংস করে।’
এক ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা হুথিদের সাথে যুদ্ধ করছি না। আমরা যে পদক্ষেপ নিচ্ছি তা প্রতিরক্ষামূলক প্রকৃতির।"
সেন্টকম এমভি কেম রেঞ্জারে হামলার চেষ্টার বিষয়টিও নিশ্চিত করে কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্শাল দ্বীপ-পতাকাবাহী মার্কিন মালিকানাধীন জাহাজটিতে দুটি জাহাজ-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছিল, তবে উভয়ই জাহাজ থেকে পড়েছিল।
ইয়েমেনের সামরিক মুখপাত্র এর আগে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছিলেন যে জাহাজটিতে "সরাসরি আঘাত" হয়েছে।