পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চেয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানভিত্তিক ডন জানিয়েছে ইমরান সতর্ক করে বলেছেন, ‘নির্বাচনে স্বচ্ছতার অভাব পাকিস্তানের জন্য আরও অস্থিতিশীলতার কারণ হবে।’
তোশাখানা মামলার শুনানি শেষে আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইমরান খান সতর্ক করে বলেন, ‘যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না করা হয়, তাহলে এর ফলে আরও অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত রাখতে কর্তৃপক্ষের দ্বারা হয়রানি ও আটক করা হচ্ছে।’
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘দলটির শিকড় জনগণের মধ্যে থাকায় দলটিকে উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়।’
এই ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের আন্তঃ-দলীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়টিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করার জন্য কঠোর এবং আকস্মিক পদক্ষেপ হিসাবে তার রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী প্রতীক থেকে বঞ্চিত করার জন্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) অভিযুক্ত করেছেন।
রাজনৈতিক উত্তাপ কমানোর জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ইমরান খান বলেন, ‘আরিফ আলভি মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ সম্পর্কে ইমরান খান বলেন, ‘পাকিস্তানের উপর পলাতক কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে পাকিস্তান অপূরণীয় ক্ষতি ভোগ করবে।’
আদালতে তার মামলার কথা বলতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে লাহোর হাইকোর্ট কর্তৃক তার আবেেনের নিষ্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও এই বিষয়ে আদেশটি প্রকাশিত হয়নি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্ষেত্রে তার অযোগ্যতার বিরুদ্ধে আদালতে শুনানি হচ্ছে না, অথচ নওয়াজ শরীফকে আদালত ক্লিন চিট দিয়েছে।
ইমরান খান বলেন, ‘পাকিস্তানে আইনের শাসন নেই। আমি একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে আইন নিজের হাতে নেব না এবং শেষ বল পর্যন্ত খেলবো।’