বিরিয়ানি খাওয়ানোর প্রস্তাবে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বদল

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-01-24 17:08:22

বিরিয়ানি খাওয়ানো ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাবে আত্মহত্যা না করে সেতুর উপর থেকে নিচে নেমে এলেন তিনি।

অভাব-অনটন, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদে মানসিক টানাপোড়েন অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। এসব কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

চলতি সপ্তাহে কলকাতায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এ খবর প্রকাশ করে দ্য নিউজ জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

খবরে জানা যায়, ৪২ বছর বয়েসি ওই ব্যক্তি বড় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার সায়েন্স সিটির সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তার ফোনটি কীভাবে যেন হারিয়ে যায়। এঘটনায় তিনি হতাশ হয়ে যান। এরপর মোটরসাইকেল থামিয়ে মেয়েকে পাশে দাঁড় করিয়ে হেঁটে রাস্তার পাশের এক সেতুর উপর উঠে যান।

সেখান থেকে জানান যে, তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন। তিনি আর তার জীবন রাখতে চাইছেন না। মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তার কাছে আত্মহত্যার কারণ জানতে চায়।

সেতুর উপর থেকেই জানান, তিনি ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় লোকসান হয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছেন তিনি। সংসারে অভাব-অনটন তার স্ত্রী ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছেন। কী খাবেন, কী করবেন, তা তিনি আর জানেন না। এর মধ্যে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে ফোনটাও হারিয়ে যায়। এতে চরম হতাশা থেকে আত্মহত্যা করতে চলেছেন তিনি।

এ কথা জানার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ তাকে দামি হোটেলে বিরিয়ানি খাওয়ানোর প্রস্তাব করে ও একটি চাকরি জুটিয়ে দেওয়ার কথা জানায়। এ কথা জানার পর ওই ব্যক্তি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত পালটে নিচে নেমে আসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি যে সেতুর উপর উঠে পড়েছিলেন, তার নিচে দিয়ে ট্রেন লাইন চলে গেছে। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত ঘটতো। সেইসঙ্গে চরম হতাশাজনক প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো। সে কারণে তারা ওই ব্যক্তিকে এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

ঘটনার সময় ব্যস্ততম সায়েন্স সিটির রাস্তায় আঘাঘণ্টার জন্য ট্র্যাফিক জ্যাম জমে গিয়েছিল।

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর