জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত ও ৪০ জনেরও বেশি আহতের ঘটনায় ইরানের হাত রয়েছে দাবি করলেও এখনই দেশটির সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
ড্রোন হামলা ও হতাহতের জেরে যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হলেও মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র। যদিও যুক্তরাষ্ট্র তার সৈন্যদের রক্ষা করার জন্য ‘সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গত রোববারের ওই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি সেনা আহত হয়েছে। প্রাণঘাতী হামলার পরে যুক্তরাষ্ট্র তার সৈন্যদের রক্ষা করার জন্য ‘সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেবে বলে সোমবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। যদিও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন জোর দিয়ে বলছে, তারা ইরানের সাথে যুদ্ধ চাইছে না।
হামলার পরদিন সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনে ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গের সাথে বৈঠকের শুরুতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) ও আমি মার্কিন বাহিনীর ওপর কোনও ধরনের হামলা সহ্য করব না এবং আমরা যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের সৈন্যদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেব।’
তবে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতি আরও বাড়তে চান না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানও যুদ্ধ চায় না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে পেন্টাগন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই যুদ্ধ চাই না এবং সত্যি বলতে আমরা দেখতে পাচ্ছি না যে, ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ করতে চায়। পেন্টাগন বিশ্বাস করে ইরান নিজেও যুদ্ধ চায় না।’
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলছেন, ‘আমরা সামরিক উপায়ে (ইরানের সরকারের) সাথে সংঘাত চাইছি না। হামলার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সেসব বিকল্প নিয়ে কাজ করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।’