বাজেয়াপ্ত হলো ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিএমডব্লিউ গাড়ি!

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-01-30 17:51:55

তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ভারতের ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনের বিলাসবহুল বিদেশি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় দুর্নীতি তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

ইডি সূত্রে এনডিটিভি জানিয়েছে, হেমন্তের দিল্লির বাড়িতে সোমবার সকাল (২৯ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া ওই অভিযানে বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।

ইডি মোট ৯বার তলব করলেও প্রতিবারই তা এড়িয়ে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত। গত শনিবার হেমন্তকে নতুন করে সমন পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রথমে তাকে ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজির হয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যুত্তর না পেয়ে পরে তাকে ২৯ কিংবা ৩১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় রাখতে বলা হয়। সেই সময়সীমার প্রথম দিনেই এই পদক্ষেপ নিল ইডি।

যদিও সোমবার সকালে ইডির তল্লাশি অভিযান শুরুর সময়ে হেমন্ত তার দিল্লির বাড়িতে ছিলেন। দুপুর আড়াইটা নাগাদ নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাকে। সন্ধ্যায় বিমানে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি ফিরে আসেন তিনি।

সোমবার জেএমএমের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইডির তল্লাশিতে কিছুই মেলেনি।

গত ২০ জানুয়ারি রাঁচীতে হেমন্তের সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) তার বয়ান নথিভুক্ত করা হয়।

তারপরই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব না মেলায় হেমন্তকে ফের সমন পাঠানো হবে। তবে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন হেমন্ত।

তিনি দাবি করেন যে, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে এবং রাজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি।

অন্যদিকে, ইডির বক্তব্য হলো, রাঁচীতে ৭.১৬ একর একটি জমির মালিকানার বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু প্রশ্ন করতে চায় তারা। অভিযোগ উঠেছে, ওই জমি বেআইনি ভাবে দখল করা হয়েছে। আদতে সেটা সেনাবাহিনীর জমি ছিল। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ‘অস্পষ্ট’ বলে দাবি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট জমি দুর্নীতির ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ছবি রঞ্জন নামে এক আমলা, অমিত আগরওয়াল এবং বিষ্ণু আগরওয়াল নামে দুই ব্যবসায়ী। ওই দুই ব্যবসায়ী বিতর্কিত জমির উপর শপিং মল তৈরি করেছেন বলে খবর।

এ সম্পর্কিত আরও খবর