লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে বার বার হামলার জবাবে শনিবার (৩ জানুয়ারি) ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ৩৬ অবস্থানে হামলা চালিয়েছে মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনী।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে ৩ মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সম্পর্কিত লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে মার্কিন বাহিনীর একতরফা ধারাবাহিক হামলার একদিন পরে মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনী ইয়েমেনে এই যৌথ বিমান হামলা চালাল।
উল্লেখ্য, হুথিদের অবস্থানে এটি তৃতীয়বারের মতো ব্রিটিশ এবং মার্কিন বাহিনীর যৌথ বিমান হামলা। মার্কিন বাহিনী হুথিদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে আসলেও লোহিত সাগরে বিদ্রোহীদের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশগুলো সমর্থিত যৌথ বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যিক জাহাজের পাশাপাশি লোহিত সাগরে চলাচলকারী নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে হুথিদের অব্যাহত আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় সর্বশেষ হামলায় ইয়েমেনের ১৩টি স্থানে ৩৬টি হুথি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছে।’
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘ইরান-সমর্থিত হুথি মিলিশিয়াদের বেপরোয়া ও অস্থিতিশীল হামলা চালানোর ক্ষমতাকে আরও ব্যাহত ও অবনমিত করার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছে।’
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘জোট বাহিনী হুথিদের অস্ত্র মজুদ সুবিধা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং লঞ্চার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডারগুলোর সঙ্গে যুক্ত ১৩টি অবস্থানে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে।’
তবে, অস্টিন কিংবা যৌথ বাহিনীর বিবৃতিতে নির্দিষ্ট কোন কোন স্থানে আঘাত করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
তবে হুথিদের আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বলেছে, ‘সানা এবং অন্যান্য স্থানগুলো লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে।’
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলেছে, ‘রয়্যাল এয়ারফোর্স টাইফুন যুদ্ধবিমান দুটি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনসহ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে, যা হুথিদের আক্রমণ এবং অনুসন্ধান ড্রোন উভয়ই পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।’
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, ‘মার্কিন বাহিনী শনিবার এর আগে পৃথকভাবে ছয়টি হুথি এন্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থানে হামলা চালায়, যেগুলো লোহিত সাগরে জাহাজের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।’
শনিবারের হামলার পর হুথি মুখপাত্র নাসর আল-দিন আমের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমরা ক্রমবর্ধমান হামলার সাথে সমানভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করব।’