ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-02-09 19:06:56

গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আলোচনা করেছেন বেশ কয়েকজন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এসপিএ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যপ্রাচ্য সফর গাজায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশা জাগিয়েছে।

কিন্তু, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য হামাসের সর্বশেষ শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তবে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘একটি চুক্তির জন্য এখনও আলোচনার অবকাশ রয়েছে।’

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান রিয়াদে গত বৃহস্পতিবারের বৈঠক ডাকেন, যাতে কাতার, মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির মহাসচিব হুসেইন আল উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অবিলম্বে গাজায় একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের পক্ষে মত দেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বৈঠকের সময় এই অঞ্চলে সংঘাতের বিস্তার রোধে প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানান।

এদিকে, গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

এর আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলি বাহিনীকে গাজা উপত্যকার শেষ বড় শহর রাফাতে অভিযানের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তবে, রাফাহ শহরে বিমান হামলা শুরু হলেও ইসরায়েলি স্থল সেনারা এখনও শহরটিতে প্রবেশ করেনি।

ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, ‘রাফাহতে একটি স্থল আক্রমণকে সমর্থন করে না ওয়াশিংটন।’

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা না করা হয়, তাহলে এমন একটি শহরে এই ধরনের অভিযান দশ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিকে বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে ফেলবে।’

রাফহতে বিমান হামলার আগে বাইডেন বলেছিলেন, ‘গত ৭ অক্টোবরের হামাসের আক্রমণের বিপরীতে ইসরায়েলের সামরিক প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যধিক এবং এটি বন্ধ করা উচিত।’

তিনি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, গাজায় ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া শীর্ষে পৌঁছেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক নিরপরাধ মানুষ আছে যারা ক্ষুধার্ত। অনেক নিরপরাধ মানুষ যারা সমস্যায় পড়েছে এবং মারা যাচ্ছে এবং এটি বন্ধ করা উচিত।’

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সতর্ক করে বলেছে, খাদ্যের অভাবে উত্তর ও মধ্য গাজায় কয়েক লাখ মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, দুই সপ্তাহেরও বেশি আগে গত ২৩ জানুয়ারি সংস্থাটিকে শেষবার এই অঞ্চলে খাদ্য সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

মানবিক সহায়তা প্রদানকারী অন্যান্য সংস্থাগুলোও ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ত্রাণ পেতে বাধা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর