কারান্তরীণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সরকার গঠনে তাদের স্বাগত জানানো হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)’র সভাপতি শেহবাজ শরীফ এ কথা বলেছেন।
শেহবাজ শরীফ বলেন, পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংসদের নিম্নকক্ষে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তার (পিএমএল-এন) দল সংসদে বিরোধী আসনে বসতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, তারা (পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্ররা) সরকার গঠন করতে পারলে আমরা আনন্দের সঙ্গে তাদেরকে মেনে নেবো। আর যদি ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা আমাদের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার ব্যবহার করবো।
তিনি আরও বলেন, পিএমএলএনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে পাঞ্জাবে। দলীয় দিক থেকে কেন্দ্রে তার দল সবচেয়ে বড় এখন। তার ভাষায়, স্বতন্ত্র কিছু সদস্য আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর আমাদের সদস্য সংখ্যা এখন ৮০। আরও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন বলেও তিনি জানান।
পিএমএল-এন নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও শেহবাজ বলেন, নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তাদের দলের প্রার্থী। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি নওয়াজ শরিফ চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন।
তিনি বলেন, তার দল কেন্দ্রে জোট সরকার গঠনের জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবে। আশাকরি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের ডাকে সবাই সাড়া দিবে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৪ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।