নওয়াজের সঙ্গে জোট, শর্ত বিলাওয়াল হবে প্রধানমন্ত্রী!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নানা নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের সবকটি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে জোট সরকার গঠনই এখন একমাত্র পথ।

সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)’র সভাপতি শেহবাজ শরীফ দলের নেতাদের বলেছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে জোট সরকার গঠনে বড় একটি অগ্রগতি হয়েছে। তবে শর্ত, পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। বিনিময়ে পাঞ্জাবে সরকার গড়তে পিএমএল-এনকে সমর্থন দেবে পিপিপি।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বেনজির পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টোকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এদিকে আরেক সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পিএমএল-এন নেতৃত্বের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেহবাজ শরিফ। আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসহাক দার, খাজা সাদ রফিক, সরদার আয়াজ সাদিক, মরিয়ম আওরঙ্গজেব, মালিক মুহাম্মদ আহমদ খান, আজম নাজির তারা, আতাউল্লাহ তারা, খাজা ইমরান নাজির প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে সরকার গঠনের বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেন পিএমএল-এন সভাপতি।

ধারণা করা হচ্ছে, আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রস্তাবিত জোট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসতে পারে পিপিপি ও পিএমএল-এ’র নেতারা।

এদিকে নির্বাচন–পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করতে পিএমএল-এনের আমন্ত্রণে এমকিউএম-পি দলের প্রতিনিধিরা লাহোরে আছেন। নির্বাচনের পরদিন পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের ইঙ্গিত দেন। এরপর তিনি তার ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে সরকার গঠনের ব্যাপারে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরুর নির্দেশ দেন।

এদিকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিএমএল-এন মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, শাহবাজ শরিফ ও আসিফ আলী জারদারির মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। তবে তারা দুজনই জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে নিজ নিজ দলের নেতাদের পরামর্শ নেবেন।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছিলেন, দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠন হওয়া উচিত। আমি বিদ্বেষ ও বিভক্তির রাজনীতির অবসান চাই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তেহরিক ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খানের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে হ্যা আমরা কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বিলাওয়াল বলেন, বর্তমান সংখ্যা অনুযায়ী পিপিপির সমর্থন ছাড়া পাঞ্জাবে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবে না।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৪ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।