ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক সাহায্য পেতে দেরি হওয়ায় তার সেনারা বিস্তৃত যুদ্ধক্ষেত্রের বিভিন্ন অংশে জটিল লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে এবং এতে তার বাহিনীর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এদিকে, মস্কোর সেনাবাহিনী পূর্ব ও ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণে ফিরে এসেছে এবং পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলে আভদিভকা দখল করেছে। গত বছরের মে মাসে বাখমুত দখলে নেওয়ার পর এটা তাদের প্রথম বড় জয়।
জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রের বেশ কয়েকটি অংশের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন, যেখানে রুশ সেনারা সর্বাধিক অস্ত্র ও গোলা-বারুদ মজুদ করেছে।’
তিনি খারকিভ অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুপিয়ানস্কের চারপাশের ব্রিগেড সফর শেষে ফিরতি পথে এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
অন্যদিকে, কাতারের মধ্যস্থতায় পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য ইউক্রেনের ১১ জন শিশু সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দুই থেকে ১৬ বছর বয়সি এই ১১ শিশু বেলারুশ হয়ে ইউক্রেনের পথে দীর্ঘযাত্রার আগে সোমবার মস্কোর কাতার দূতাবাসে হস্তান্তর করা হয়। এই শিশুরা মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম ইউক্রেনে প্রবেশ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই দীর্ঘযাত্রায় কাতারের কূটনীতিকরা শিশুদের সঙ্গে থাকবেন বলে জানা গেছে। গত বছরের অক্টোবরে এই প্রকল্পের অধীনে শিশুদের দলগুলো ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় স্থানান্তর করা শুরু হয়েছিল।
রাশিয়া বলছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোট ৫৯ শিশুর ইউক্রেনে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
এর আগে মস্কোর বিরুদ্ধে পরিবারগুলোকে বিভক্ত করার এবং ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অংশ থেকে শিশুদের মগজ ধোলাই করার জন্য রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছিল কিয়েভ।
হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছর ইউক্রেনের শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার শিশু বিষয়ক কমিশনারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
কাতারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী লোলওয়াহ আল-খাতার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই বিষয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে কাতার। তাদের মধ্যস্থতা শিশুদের পুনর্মিলন উদ্যোগে অগ্রগতি করছে। এ ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রেও আস্থা তৈরির উপায় খুঁজছে দোহা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবো, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদেরকে অনুরোধ করা হবে। দোহা আশা করছে যে, এই মধ্যস্থতা শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ হ্রাসের দিকে নিয়ে যাবে।’