থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়াবতী শহরে জান্তার একটি কার্যালয় ও থানা দখল করে নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও তাদের সহযোগীরা।
এদিকে, শনিবার (৯ মার্চ) মায়াবতী শহরের থিঙ্গানিনাউঙ্গ অঞ্চলে জান্তার ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন ৩৫৫ এর পতন হয়।
কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সামরিক শাখা কেএনএলএ ও তাদের মিত্ররা গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে থিঙ্গানিনাউঙ্গে আক্রমণ শুরু করে। শনিবার নাগাদ জান্তা বাহিনীর ওই ঘাঁটি ও থানার পতন ঘটে।
ব্যাংককভিত্তিক মিয়ানমারের সংবাদ সংস্থা ইরাবতী জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এশিয়া হাইওয়েতে মায়াবতী ও কাওকারেইক শহরের সীমান্তের মধ্যে থিঙ্গানিনাউঙ্গ অবস্থিত।
এখানকার ঘাঁটির পতনের পর কেএনএলএ পাশের ৩৫৬ ও ৩৫৭ নম্বর ঘাঁটিতে হামলা শুরু করেছে। অন্যদিকে, জান্তার পক্ষ থেকে কেএনএলএকে রুখতে বিমান ও গোলা হামলা করা হচ্ছে।
কেএনএলএর এক প্রতিরোধযোদ্ধা বলেন, ‘আমরা ৩৫৬ নম্বর ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছি। সেখানকার অধিকাংশ সেনা পালিয়ে গেছে। অল্প কিছু সেনা সেখানে অবস্থান করছে। ৩৫৫ ও ৩৫৬ ঘাঁটির সেনারা হামলা রোধে ৩৫৭ নম্বর ঘাঁটিতে যোগ দিয়েছে।’
তিন দিন ধরে চলা লড়াইয়ে ১০০টির বেশি বোমা হামলা করেছে জান্তা বাহিনী। এ হামলায় ৬০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গত শুক্রবার বোমা হামলার পর সেখানকার অধিকাংশ লোকজন পালিয়ে গেছেন। নিজেদের জিনিসপত্র রক্ষায় ৬০ জনের মতো সেখানে অবস্থান করছেন। থিঙ্গানিনাউঙ্গে প্রায় ৭ হাজার মানুষ বাস করেন। তাদের অধিকাংশ মায়াবতী শহর বা আশপাশের গ্রামগুলোতে পালিয়ে গেছেন।
গত শুক্রবার জান্তার বিমান হামলায় নাই নুয়াং গ্রামের দুজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। গত শনিবার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পাঁচজন মারা গেছেন। কিন্তু, জান্তা সেনার হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি।
মিয়ানমারের মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে জান্তার হামলায় ৪ হাজার ৬৫৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের হাতে আটক হয়েছেন ২৬ হাজার ২২৮ জন।