পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ১৬ তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কারচুপি, ফলাফল পাল্টানো ও দলের জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
রোববার (১০ মার্চ) এ কর্মসূচি থেকে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটকের ঘটনাও ঘটেছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার পিটিআইয়ের সমর্থক ও কর্মীরা কর্মসূচি সফল করতে রাস্তায় নেমে আসেন। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে অর্থসহায়তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে চিঠিও লিখেছিলেন পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাহোরে পুলিশ বেশ কয়েকজন পিটিআইয়ের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে শহরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার পরে পিটিআইকর্মী ও পুলিশ মুখোমুখি হয়। পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলের দক্ষিণ পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট মইন রিয়াজ কুরেশি এবং মুলতানের প্রেসিডেন্ট মালিক আদনান ডোগারকে বিক্ষোভের সময় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে, একই অভিযোগে ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে গত ২ মার্চ দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করে পিটিআই। সেই প্রতিবাদে শামিল হতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল দলটি।
এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বন্দি থাকা আদিয়ালা কারাগারে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছিল গত ৬ মার্চ। তবে পাকিস্তানের পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম বিভাগ (সিটিডি) যৌথ চেষ্টায় এ হামলা বানচাল করে দেয়।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করলেও সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন যায় তাদের দখলে। কিন্তু দলটির অভিযোগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করেই তাদের প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছে।