জাতিসংঘের তদন্তকারীরা শুক্রবার (১৫ মার্চ) বলেছেন, ইউক্রেনে পরিকল্পিত নির্যাতন ও ধর্ষণসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, মস্কো দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সম্প্রতি যুদ্ধক্ষেত্রে সফলতা লাভ করেছে।
পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেনের অধিকার পরিস্থিতির উপর জাতিসংঘের উচ্চ-স্তরের তদন্ত কমিশন (সিওআই) বলেছে, তারা যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সামরিক শক্তির ব্যাপক অপব্যবহারের নতুন প্রমাণ পেয়েছে।
বেসামরিক এলাকায় বিস্ফোরক অস্ত্রের ক্রমাগত ব্যবহার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে তদন্ত কমিশনটি বলেছে, বেসামরিকদের সম্ভাব্য ক্ষতির ক্ষেত্রে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অবহেলার চিত্র নিশ্চিত করেছে।
সিওআই প্রধান এরিক মোস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রমাণগুলো প্রদর্শণ করে যে, রাশিয়া কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং সংশ্লিষ্ট যুদ্ধাপরাধ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শনাক্ত করা কিছু ঘটনা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কিনা, তা নির্ধারণের জন্য আরও তদন্ত প্রয়োজন।’
জাতিসংঘ বলেছে, পূর্ববর্তী অনুসন্ধানগুলো এটা নিশ্চিত করে যে, রাশিয়া কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্যাতন ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয় ক্ষেত্রেই বিস্তৃত এবং পরিকল্পিতভাবে হয়েছে।
তদন্তকারীরা বলেছেন, তারা ইউক্রেনে ১৬টি পৃথক সফরে ৮০০ জনেরও বেশি লোকের সঙ্গে কথা বলার পরে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
তদন্তকারী দলটি দেখেছে যে, ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে রাশিয়ার আচরণ ভয়াবহ।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলি নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং পুরুষ বন্দীদেরকে ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছে রাশিয়া বাহিনী।