মিয়ানমারের জান্তা ইতিমধ্যেই অস্তিত্বগত হুমকির সম্মুখীন হয়েছে বুধবার (২০ মার্চ) মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।
তিনি আরও বলেছেন, ‘বিশ্ব সমন্বিত নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দেশটিতে জান্তার দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে পারে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘জান্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা, দলত্যাগ, আত্মসমর্পণ এবং নিয়োগের চ্যালেঞ্জগুলো দেশটির সেনা সংখ্যাকে হ্রাসের দিকে পরিচালিত করেছে, যা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য একটি অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা মিয়ানমারে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য জান্তার পক্ষে বাজি ধরেছিল, তারা হেরে গেছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসে জান্তা।
অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘জান্তা দেশের সহিংসতা, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক অবনতি এবং অনাচারের প্রধান চালক।’
উল্লেখ্য, এই সাবেক মার্কিন কংগ্রেসম্যান মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিশেষ প্রতিবেদক।
অ্যান্ড্রুজ বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো আর্থিক প্রবাহ বন্ধ করেছে বিধায় সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ জান্তার কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দেশটি মিয়ানমারের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে এবং এই দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র বেচাকেনা গত বছরের তুলনায় ৮৩ শতাংশ কমেছে।
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, জান্তাকে অস্ত্রের প্রথম এবং দ্বিতীয় সরবরাহকারী যথাক্রমে রাশিয়া এবং চীন নিষেধাজ্ঞা মানেনি।
অ্যান্ড্রুজ বলেন, জান্তাকে আর্থিকভাবে দমিয়ে রাখতে আরও কিছু করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘জান্তা মাশরুমের মতো। তারা অন্ধকারে উন্নতি লাভ করে।’