ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে আনুমানিক ১৫০ জনকে বহনকারী একটি কাঠের নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৬৯ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার দ্য কমিশন ফর মিসিং পারসনস এন্ড ভিকটিমস অব ভায়োলেন্স (কন্ট্রাএস আচেহ) বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত ৪২ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং ৯ শিশুকে বন্দরে আনা হয়েছে।
তবে আরও কয়েক ডজন মানুষ ডুবে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার সকালে আচেহের পশ্চিম উপকূলে কুয়ালা বুবনের সৈকত থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে নৌকাটি সমস্যায় পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, চার জন মহিলা এবং দুই জন পুরুষকে আচেহের জেলেরা উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়, যেখানে তারা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি ফয়সাল রহমানের সঙ্গে কথা বলেন।
ফয়সাল রহমান বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের জবানবন্দিতে জানা গেছে যে, অনেকেই পানিতে ডুবে মারা গেছে।
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারছি না, তবে উদ্ধার হওয়া ছয়জনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বোঘা যাচ্ছে অনেকেই মারা গেছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, ওই নৌকাডুবির ঘটনায় প্রায় ৫০ জন মারা গেছে।’
ধারণা করা হচ্ছে, যাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তাদের অধিকাংশই ছিল নারী ও শিশু, যারা সাঁতার কাটতে পারেনি।
কুয়ালা বুবন যেখানে অবস্থিত সেই আচেহের বারাত জেলার জেলে সম্প্রদায়ের নেতা আমিরুদ্দিন বলেছেন, ‘বুধবার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা থেকে একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী নৌকা পাঠানো হয়েছে।’
তবে, নৌকাটি কেন ডুবেছিল তা স্পষ্ট নয়। এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে বঙ্গোপসাগরে তাদের নৌকা ডুবে ১৭ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর মুত্যু হয়।