মস্কোর কাছে একটি কনসার্ট হলে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনাকে ‘বর্বর সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শনিবার (২৩ মার্চ) টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, সীমান্ত অতিক্রম করে ইউক্রেনে ঢুকে যাওয়ার আগে চার বন্দুকধারী গ্রেফতার হয়েছে। এই হামলার পিছনে যারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ভয়াবহ এই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাশিয়ায় জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন পুতিন।
পুতিন বলেন, চার বন্দুকধারীসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা লুকানোর চেষ্টা করেছিল এবং তারা ইউক্রেনের সীমান্ত অতিক্রম করার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
পুতিন বলেন, আমি আজ আপনাদের সঙ্গে রক্তাক্ত, বর্বর সন্ত্রাসী হামলা প্রসঙ্গে কথা বলছি, যার শিকার হয়েছে শতাধিক নিরীহ, শান্তিপ্রিয় মানুষ।
রাশিয়ার এফএসবি নিরাপত্তা সার্ভিস জানিয়েছে, হামলাকারীরা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টার আগে ইউক্রেনে নিজেদের লোকজনের সঙ্গে ‘সংযুক্ত’ ছিল। তাদের সীমান্তের কাছ থেকে ধরা হয়েছে। এখন আটককারীদের মস্কোতে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় মস্কোর উত্তরে ক্রাসনোগোর্স্ক অঞ্চলে ক্রোকাস সিটি হলে শত শত মানুষ কনসার্ট দেখতে জড়ো হয়েছিলেন। গান শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে সশস্ত্র ব্যক্তিরা থিয়েটারে ঢুকে পড়ে। তারা নির্বিচার গুলি ছুড়তে শুরু করে। ভয়াবহ এই হামলায় ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক।
এদিকে, ভয়াবহ এই হামলার দায় আইএস নিলেও হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ও পরিচয় জানা যায়নি। উগ্রবাদীরা এর আগে রাশিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চলকে সমর্থন করার জন্য হামলা চালিয়েছে। তবে রাশিয়া এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
পুতিন হামলার পেছনে ইউক্রেনের যুক্ত থাকার ইঙ্গিত দিলেও কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ রয়টার্সকে বলেছেন, এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে ইউক্রেন কোনোভাবেই জড়িত ছিল না। ইউক্রেন রাশিয়ান হানাদারদের হাত থেকে তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করছে, তার নিজস্ব এলাকা মুক্ত করছে।