প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পরে বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে প্রথমবার নিজের গ্রামে ফিরলেন পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রেখা পাত্র। শঙ্খ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে রেখাকে সন্দেশখালিতে স্বাগত জানান গ্রামবাসীদের একটি অংশ।
এর পর ধামাখালির কাছে একটি কালি মন্দিরে রেখা পুজা দেন রেখা। তার পর কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে।
এদিকে, বসে নেই তৃণমূলও। সন্দেশখালির জেলবন্দি শাহজাহানের গ্রাম সরবেড়িয়ায় হাজি নুরুলের সমর্থনে বিশাল মিছিল করেছে দলটি।
সন্দেশখালির আন্দোলনের মুখ রেখা যেদিন গ্রামে ঢুকলেন, সেদিনই সরবেড়িয়া গ্রামে নিজ প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল করল তৃণমূল। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে বসিরহাট কেন্দ্রের প্রচারণা।
তৃণমূল এ বার তারকা অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে সরিয়ে ফিরিয়ে এনেছে হাজি নুরুলকে। এই কেন্দ্রেরই এক সময়ের সাংসদ হাজির কাছে নির্বাচনে লড়াই নতুন কিছু নয়।
অপরদিকে, এবার তার লড়াই যে রেখার সঙ্গে, তিনি এতদিন ছিলেন গৃহবধূ। কোলে বাচ্চা নিয়ে সন্দেশখালিতে আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এ কারণেই বিজেপি তাকে বসিরহাটের প্রার্থী করে। এ বিষয়ে নিজে রেখাকে ফোন করেন মোদি।
বুধবার সকাল থেকে শুরু হল রেখার জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াই। সকালে তিনি সন্দেশখালিতে পৌঁছতেই শঙ্খধ্বনি এবং উলুধ্বনি দিতে থাকেন গ্রামের নারীদের একটি অংশ। রেখার নাম ঘোষণা হওয়ার পরে বিক্ষোভ করেছিলেন স্থানীয় কয়েক জন নারী। বুধবার সকালে তাদেরই দেখা গেল রেখাকে স্বাগত জানানোর দলের পুরোভাগে।
সন্দেশখালির ফেরিঘাটে নেমে রেখা প্রথমে যান ধামাখালির কাছে একটি কালি মন্দিরে। সেখানে পুজা করেন। তার পর নেমে পড়েন জনসংযোগে। রেখাকে দেখে চোখের জল বাঁধ মানেনি তাঁর পরিজনদের। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন রেখা। তার পর উঠে বসেন একটি টোটোয়। ভিড়ের চাপে টোটো আটকে যায়।
রেখা যেখানেই গেছেন, সেখানেই তার সঙ্গে গেছেন গ্রামের নারীদের একটি অংশ। তারা ফুলের পাপড়ি ছুড়ে স্বাগত জানিয়েছেন রেখাকে। এলাকার বিভিন্ন দেওয়াল ইতিমধ্যেই রেখার নামে রাঙিয়ে ফেলেছে বিজেপি।
গ্রামের প্রতিবাদী কাজল সর্দার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা পাশে পেয়েছি। রেখা পাত্রর সঙ্গে আমি প্রথমদিন থেকেই আন্দোলনে আছি। আগামীদিনেও থাকব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই আবেদন, তিনি যেন আমাদের হাত ছেড়ে না দেন। তিনি যেন আমাদের পাশে থাকেন, আমাদের হাত ধরে।’