সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মালয়েশিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগকারীরা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা ধরনের বৈষম্যকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশিরা। এরই মধ্যে অনেকেই মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গুটিয়ে ফেলেছেন। ফলে মালয়েশিয়া সরকারের নতুন ঘোষিত ভিসা ক্যাটাগরির প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রামে সাড়া মেলেনি। গত ২ বছরে মাত্র ৪৭ জন বিদেশি এই প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করেছেন। যার মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা মাত্র একজন। অথচ সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামে চীনের পরই ছিল বাংলাদেশি নাগরিকদের আবেদনের হিড়িক।
মালয়েশিয়ার পর্যটন, কলা এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী তিয়ং কিং সিং জানিয়েছেন, যেই ৪৭ জন আবেদন করেছেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ তাইওয়ান এবং চীনের নাগরিক।
২০২২ সালে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জায়নুদিন ইনভেস্টমেন্ট ভিসার মাধ্যমে এই এক্সক্লুসিভ রেসিডেন্স প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন।
তিয়ং বলেন, প্রথম থেকেই এই প্রোগ্রামটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। তাইওয়ান এবং চায়না ছাড়া আবেদনকারী বাকিদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন ডাচ, ২ জন জার্মান, ২ জন আমেরিকান, তিনজন দক্ষিণ আফ্রিকার, একজন তার্কি এবং একজন বাংলাদেশের নাগরিক।
২০ হাজার বিদেশির জন্য প্রথম দফায় প্রিমিয়াম ভিসার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল মালয়েশিয়া সরকার। এজন্য প্রতিজন আবেদনকারীকে দিতে হচ্ছে ২ লাখ রিঙ্গিত বা ৫০ লাখ টাকা। আবেদনকারীর ডিপেন্ডেন্টের জন্য দিতে হচ্ছে ১ লাখ রিঙ্গিত বা ২৫ লাখ টাকা। একই সঙ্গে প্রতিবছর ২ হাজার রিঙ্গিত বা ৫০ হাজার টাকার নবায়ন ফি রয়েছে।
প্রিমিয়াম ভিসা আবেদনকারীরা মালয়েশিয়ায় অনুমোদিত শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন, সম্পত্তি কিনতে পারবেন এবং কাজেরও অনুমতি মিলবে। তবে আবেদনকারিকে মাসে ৪০ হাজার রিঙ্গিত বা ১০ লাখ টাকা আয় করতে হবে। এছাড়াও স্থানীয় ব্যাংকে ১০ লাখ রিঙ্গিত বা আড়াই কোটি টাকা জমা রাখতে হবে। যেখান থেকে বাড়ি কেনার জন্য অর্ধেক টাকা তিনি ব্যয় করতে পারবেন এবং বাকি অর্থের বিনিময়ে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার সেবা গ্রহণ করবেন।
প্রিমিয়াম ভিসা ব্যবহারকারী ব্যক্তিরা ২০ বছরের জন্য মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল এন্ট্রির ভিসা পাবেন।
তিয়ং জানান, মালয়েশিয়া সেকেন্ড হোমের অধীনে বর্তমানে ৫৬ হাজার ৬৬ জনের প্রোগ্রাম সক্রিয় রয়েছে।