পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই এর নেতা ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে আনা তোশাখানা দুর্নীতি মামলার ১৪ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করেছে আদালত। ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে সোমবার (১ এপ্রিল) তা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক, বিচারপতি মিয়া গুলহাসান আওরঙ্গজেবের সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ ইমরান খানের পক্ষ থেকে তোশাখানা মামলার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা একটি আপিলের শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন।
সোমবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতে ইমরান খানের আপিলের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আলী জাফর। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে কৌঁসুলি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমজাদ পারভেজ। তবে শুনানির সময় ইমরান খান বা তার স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন কি না তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ইসলামাবাদের দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ আদালত ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে এই কারাদণ্ড দেয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য যেকোনো রাষ্ট্রীয় পদে দায়িত্ব পালনের অযোগ্য বলে ঘোষণা দেয় এবং প্রায় ৭৯ কোটি পাকিস্তানি রুপি জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেয়।
পরে ১ ফেব্রুয়ারি আরেকটি আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়ে সংক্রান্ত ইদ্দত মামলায় এই দুজনকে আরও ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়। এই দুই মামলারও আগে, সাইফার মামলায় ইমরান খান ও তাঁর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো অভিযোগ আনে যে, ইমরান খান সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে প্রাপ্ত এক সেট গয়নার দাম কম করে দেখানো হয়েছে অভিযোগ এনে নতুন মামলা দায়ের করে। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করে।