তাইওয়ান বুধবার (৩ এপ্রিল) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে চীনের ৩০টি যুদ্ধবিমান সনাক্ত করা হয়েছে।
চীন স্ব-শাসিত তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ড বলে মনে করে এবং দ্বীপরাষ্ট্রটিকে তার নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগের কথা সব সময়ই বলে এসেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের ওই ৩০টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে ২০টি তাদের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজেড) প্রবেশ করেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং চীনের কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে টহল বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এর আগে গত মাসে তাইওয়ানের চারপাশে ৩৬টি চীনা যুদ্ধবিমান সনাক্ত করা হয়েছিল।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের নির্বাচনের পর থেকে দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে চীনের সামরিক তৎপরতা বেড়েছে। কারণ, প্রেসিডেন্ট সাই তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশ বলে মনে করেন। কিন্তু বেইজিং বলেছে, সাইয়ের ওই দাবি অগ্রহণযোগ্য।
চীন প্রায় প্রতিদিনই তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধবিমান এবং নৌযান মোতায়েন করছে।
তাইওয়ানের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে, যাকে বেইজিং অপছন্দ করে, তিনি গত ১৩ জানুয়ারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা নেতা শি জিনপিং একটি ফোনকলে আলোচনা করা বিষয়গুলোর মধ্যে তাইওয়ানও ছিল।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে শি’কে চাপ দিয়েছেন বাইডেন।