পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থার কর্ণধার যোগগুরু রামদেবকে ভর্ৎসনা করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) পতঞ্জলি মামলার শুনানিতে দেশটির শীর্ষ আদালত রামদেবের কৌঁসুলির উদ্দেশে বলেন, উনি মোটেই নিরপরাধ নন। রামদেবের সংস্থার বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে যোগগুরুর ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের’ও সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আজকের শুনানিতে অবশ্য নিজের ভুলের কথা স্বীকার করেন রামদেব। তার আইনজীবী মুকুল রোহতগি রামদেবের হয়ে বলেন, আমি এ ক্ষেত্রে যা করেছি, তা ঠিক করিনি। আমি ভবিষ্যতে বিষয়টি মাথায় রাখব। এসময় যোগগুরু বলেন, তিনি প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত।
তবে রামদেবের ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাবের পরেও তাকে রেহাই দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ জানায়, রামদেব ক্ষমা চাইলেও, তারা সেটিকে গ্রহণ করবে কি না, তা ভেবে দেখছে। এই প্রসঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, আপনার (রামদেব) পুরনো ইতিহাস খারাপ। আপনার ক্ষমাপ্রার্থনা আমরা গ্রহণ করব কি না, তা ভেবে দেখব।
একই সঙ্গে বেঞ্চ রামদেবকে ভর্ৎসনা করে বলে, আইন সকলের জন্য সমান। আপনি নিজেও ভাল করে জানতেন যে, যে রোগ সারে না, আপনি তা নিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না। আগামী ২৩ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
এর আগেও পতঞ্জলির ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন’ মামলায় আবার সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়েছিলেন রামদেব। গত ৯ এপ্রিল আদালতে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন রামদেব। তবে যোগগুরু এবং পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) আচার্য বালকৃষ্ণের ক্ষমাপ্রার্থনা মঞ্জুর না করে শীর্ষ আদালতের দুই সদস্যের বেঞ্চ বলে, ‘আমরা অন্ধ নই। পুরো বিষয়টি নিয়ে আদালত ‘উদার হতে চায় না’ বলেও মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।