সমুদ্রপথে মানবিক সহায়তা প্রবাহের সুবিধার্থে গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্থায়ী সমুদ্রবন্দর ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৩২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই সমুদ্রবন্দরটি শক্তিশালী সমুদ্র স্রোতের কারণে গত সপ্তাহান্তে আংশিকভাবে ভেঙে পড়ে। প্রতিবেদন- বিবিসি।
মার্কিন এবং ইসরায়েলি মিডিয়া ইতিমধ্যে গত সপ্তাহান্তে রিপোর্ট করেছে, ভাসমান কাঠামোটি ইস্পাতের তৈরি। সাগরের ঢেউয়ের কারণে ইস্পাতের বেশ কয়েকটি জোড়া আলগা হয়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। সমুদ্রের ঢেউ ইস্পাতের বার্জগুলোকে উত্তরে ইসরায়েলি শহর আশোদের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছে।
ইউএস ফোর্সেস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) শনিবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে পেন্টাগনের মুখপাত্র ও ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং বিবিসিকে বলেছেন, ইসরায়েলের নৌবাহিনীর সহায়তায় আগামী ২ দিনের মধ্যে অস্থায়ী বন্দরের ভাসমান অংশগুলো সরানো হবে; তারপর সেগুলো মেরামত করে ফের স্থাপন করা হবে বন্দর। এতে এক সপ্তাহ বা আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
‘আবহাওয়ার ওপর তো আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সাগর শান্ত এবং আবহাওয়া অনুকূল থাকে, তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হবে; কিন্তু আবহাওয়া যদি প্রতিকূল থাকে, সেক্ষেত্রে কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে,’ বিবিসিকে বলেন সাবরিনা সিং।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্থায়ী বন্দর ব্যবহার করে গাজায় ত্রাণ পাঠাচ্ছে জাতিসংঘও। বিশ্বের বৃহত্তম এই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থার খাদ্য সহায়তা বিষয়ক কর্মসূচি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বন্দরটির মাধ্যমে ৯০০ টন খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে ডব্লিউএফপি। বন্দরটি অপারেশনের উপযোগী হলে আবারও ত্রাণ পাঠানো শুরু হবে।