জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার সমাপ্তি এবং একটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়ে খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে আলজেরিয়া।
রয়টার্স জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের চাপ উপেক্ষা করেও রাফাহ শহরে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছে। এতে রাফাহ জনাকীর্ণ শহরে পরিণত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আদালত গত সপ্তাহে দখলদার শক্তি ইসরায়েলকে অবিলম্বে রাফাহতে যুদ্ধ বন্ধ এবং অন্য যেকোন পদক্ষেপ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। ওই রায়ের প্রেক্ষিতে খসড়া প্রস্তাবটি তৈরি করা হয়েছে বরে জানা গেছে।
এই খসড়া প্রস্তাবে সকল পক্ষের প্রতি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয়েছে এবং এ ছাড়াও সকল জিম্মিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়েছে।
রাফাহতে বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি তাঁবুতে গত রবিবার ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ জন নিহত হয়েছে। এই হামলায় ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার তোপের মুখে পড়ে ইসরায়েল।
এই ঘটনার পর আলজেরিয়া মঙ্গলবার (২৮ মে) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকে।
গাজার এক বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, মঙ্গলবার রাফাহ শহরের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে ইসরায়েলের আরেকটি হামলায় আরও ২১ জন নিহত হয়েছে।
তবে, ঠিক কবে নাগাদ প্রস্তাবটি ভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি জাতিসংঘে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত অমর বেন্দজামা।
চলতি সপ্তাহে এটি ভোটের জন্য উপস্থাপনের আশা প্রকাশ করে চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেছেন, ‘আমরা আশা করি এটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করা যেতে পারে। কারণ, এর সঙ্গে জীবন রক্ষার বিষয়টি জড়িত।’
জাতিসংঘে ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস ডি রিভেরা পরিষদের বৈঠকের আগে বলেছেন, ‘কাউন্সিলের জন্য এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার এটি চূড়ান্ত সময়। এটি জীবন-মৃত্যুর জন্য জরুরি বিষয়।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উপর হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক নৃশংস অভিযান শুরুর পর থেকে নিরাপত্তা পরিষদের এটিই প্রথম ঐক্যবদ্ধ অবস্থান।
মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে কেন্দ্র করে দুটি প্রস্তাব পাস করার পর গত মার্চ মাসে নিরাপত্তা কাউন্সিল অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের আহ্বান জানালে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি।