গত কয়েক দিনের তীব্র লড়াই এবং দুই শতাধিক বিমান হামলার পর উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় অভিযান শেষ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাবালিয়ায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা ভয়াবহ লড়াই শেষে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তাদের সেনারা অভিযান শেষ করেছে এবং গাজার অন্য স্থানে অভিযানের প্রস্তুতির জন্য তাদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জাবালিয়ায় অভিযান চলাকালীন ইসরায়েলি সেনারা হামাসের হাতে আটক ২৫০ জিম্মির মধ্যে সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
এদিকে এক সিনিয়র ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা শুক্রবার (৩১ মে) বলেছেন, ইসরায়েল এমন কোনো যুদ্ধ থামাতে রাজি হবে না, যা চুক্তির অংশ নয়।
হামাস বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বলেছিল যে, ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের এবং ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময়সহ একটি চুক্তির জন্য প্রস্তুত রয়েছে, কিন্তু, ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
রঢটার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাবালিয়াকে একটি সুরক্ষিত ঘাঁটিতে পরিণত করেছিল হামাস।
ওই সামরিক বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা জাবালিয়ার যুদ্ধে শতাধিক হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
এ ছাড়াও ১০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হামাসের একটি টানেল ধ্বংস করাসহ হামাসের জেলা ব্যাটালিয়ন কমান্ডারকে হত্যার দাবিও করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ে জাবালিয়াতে কয়েক সপ্তাহের প্রচণ্ড লড়াই হয়েছিল এবং গত জানুয়ারিতে আইডিএফ বলেছিল যে, তারা হামাসের সকল কমান্ডারকে হত্যা করেছে।
অন্যদিকে, গত বুধবার ইসরায়েলের প্রতি গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে, এটি ছাড়া ইসরায়েলের সামরিক অর্জন টেকসই হবে না এবং হামাসের প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে।