ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এরপরেও ক্রমাগত হামলা চালিয়ে গাজার শিশুদের ঝুঁকি অব্যাহত রাখায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (৭ জুন) জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চিল্ড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ নামের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি আগামী ১৮ জুন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্ব সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত নিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে গিলাদ জানান, জাতিসংঘের এই পদক্ষেপে তিনি ক্ষুব্ধ।
গিলাদ বলেন, ‘এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হলো বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। এক ব্যক্তিই কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণায় পরিচালিত।’
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর ইসরায়েলি সেনাদের ‘লজ্জার তালিকায়’ যোগ করাকে সঠিক পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে ইসরায়েলের কালো তালিকাভুক্তির বিষয়টি জানান।
জাতিসংঘের এই তালিকায় সৌদি আরব, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাম রয়েছে। এ ছাড়া ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-শাবাব, তালেবান, আল-কায়েদার মতো সংগঠনও আছে।