ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য রাশিয়ার মাধ্যমে একটি অনুরোধ বার্তা পাঠিয়েছে বাহরাইন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের অর্ন্তবর্তী প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মোহাম্মদ জামশিদির বরাতে এ খবর নিশ্চিত করেছে ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো।
কয়েক বছরের উত্তেজনার পর ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়ে বাহরাইনের কর্মকর্তাদের প্রকাশ্য বিবৃতি প্রকাশের পর শুক্রবার (৭ জুন) ওই অনুরোধ বার্তা পাঠায় বাহরাইন।
ইরানের প্রেস টিভিতে জামশিদির বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ‘বাহরাইন ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য রাশিয়ার মাধ্যমে ইরানকে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।’
উল্লেখ্য, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ২০১৬ সালে তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে মানামা।
বাহরাইন ২০১১ সালে দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে জড়িত থাকার অভিযোগও করেছিল ইরানের বিরুদ্ধে।
এদিকে, গত বছর চীনের মধ্যস্থতায় এক চুক্তির মাধ্যমে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সৌদি আরব ও ইরান।
গত মাসে মস্কো সফরের সময় বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা বলেছিলেন, উপসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য উন্মুখ।
বাহরাইনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বিএনএ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই।
গত সপ্তাহে বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বাদশাহ হামাদ একই বার্তার পুনরাবৃত্তি করেন।
লি-কে হামাদ বলেন, ‘শান্তি, সহনশীলতা এবং সহাবস্থানের প্রবক্তা হিসাবে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ এবং কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বনে বিশ্বাস করি। আমরা প্রতিবেশী হিসাবে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু করতে চাই এবং আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির এই প্রচেষ্টার জন্য আপনার সমর্থনকে স্বাগত জানাই।’
গত মাসে বাহরাইনের রাজা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনিকে ফোন কল করেন।
২০২০ সালে বাহরাইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ইরানের তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
দুই বছর পর এই উপসাগরীয় দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তিও স্বাক্ষর করে।
গত ডিসেম্বরে বাহরাইন ইয়েমেনের ইরান-মিত্র হুতিদের দ্বারা আন্তর্জাতিক শিপিং লেনগুলোতে আক্রমণ প্রতিহত করতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে যোগ দেয়।