ইসরায়েলের বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১১ জুন) বৈঠকের কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের।
গাজা সংঘাতের ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতির একটি পরিকল্পনার বিষয়ে চাপ প্রয়োগে দেশটিতে পৌঁছানোর একদিন পর তিনি এ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গ্রুপ হামাসের মধ্যে আট মাসের লড়াইয়ের বিষয়ে যুদ্ধবিরতি পালন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি এ সফরে আছেন।
এদিকে, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা সমর্থন করে দেওয়া মার্কিন খসড়া প্রস্তাব সোমবার (১০ জুন) গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এ পরিকল্পনার অধীনে ইসরায়েল গাজার জনবসতিপূর্ণ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হামাস ৭ অক্টোবর হামলা চালানোর সময় জিম্মি করা ব্যক্তিদের মুক্তি দেবে।
ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার তেল আবিবে মধ্যপন্থী এবং সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গানৎসের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এর পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিডের সঙ্গেও সাক্ষাত করার কথা রয়েছে ব্লিঙ্কেনের ।
অন্যদিকে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ শান্তির পক্ষে ভোট দিয়েছে।
তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনের পর বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ আলোচনার টেবিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নিতে হামাসকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। কারণ, ইসরায়েল ইতিমধ্যে এ চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এ ব্যাপারে হামাস সম্মত হলে যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে।’
হামাস সোমবার বলেছে, তারা নিরাপত্তা পরিষদের ভোটকে স্বাগত জানায় এবং মধ্যস্থতাকারীদের সহযোগিতা করার ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের ভোটকে সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।