সাবমেরিন ক্যাবল ত্রুটির কারণে পাকিস্তানে ইন্টারনেট বিঘ্নিত

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-08-21 21:49:05

সাবমেরিন ক্যাবলের ত্রুটির কারণে পাকিস্তানে ইন্টারনেটে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানিয়েছে, দ্য পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটি (পিটিএ)।

বুধবার (২১ আগস্ট) পিটিএ-এর বরাত দিয়ে দেশটির নিউজপোর্টাল দ্য নিউজ এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, বুধবার দ্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্ট্যান্ডিং কমিটি অন আইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ-উর-রেহমান জানিয়েছেন, সাবমেরিন কনসোর্টিয়াম জানতে পেরেছে, সাবমেরিন ক্যাবলের ত্রুটির কারণে ইন্টারনেটে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ২৭ আগস্ট নাগাদ এটি ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হাফিজ-উর-রেহমান বলেন, ২০১৯ সালে ইন্টারনেট ফায়ারওয়াল সিস্টেমকে অনুমোদন দেওয়া হয় এবং সে বছরই এটি চালু করা হয়।

হাফিজ-উর-রেহমান এ সময় আরো উল্লেখ করেন, সাতটি ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে পাকিস্তান ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। এই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের একটি ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, ইন্টারনেটে বিঘ্ন ঘটেছে।

এর আগে ১৮ আগস্ট দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী শাজা ফাতিমা খাজা বলেন, সরকার ইন্টারনেট ব্লক বা এর গতি স্লো করেনি। সরকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এ অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

শাজা ফাতিমা উল্টো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ওপর দোষ চাপিয়ে বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করায় এর গতি ধীর হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভিপিএন ব্যবহার করার কারণে অনেক অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ডাউনলোড হয়নি। কারণ, ভিপিএন ফোনের গতি ধীর করে দেয়।

বিশেষজ্ঞরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, সরকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা দিনরাত ধরে ইন্টারনেটের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন।

তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এমন সময়ে এ মন্তব্য করেন, যখন দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ ইন্টারনেটের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। বিশেষ করে গ্রাহকেরা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেননি ‘ব্লকেইড’ থাকায়। কোথাও কোথাও আবার ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবাও পাওয়া যায়নি।

সেসময় ওয়্যারলেস ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান (ডব্লিউআইএসপিএপি) অভিযোগ করে, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে অবাঞ্ছিত তথ্য যাতে না পৌঁছায়, সে কারণে নিরাপত্তা ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর নজর রাখতে ইন্টারনেটে ফায়ারওয়াল বসানো হয়েছে।

এর আগে ১৫ আগস্ট পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা বলেন, সাইবার নিরাপত্তার জন্য ইন্টারনেটে ফায়ারওয়াল বসানো হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেই এটি করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, শুধু পাকিস্তান নয়, সারা পৃথিবীর দিকেই তাকিয়ে দেখা যাবে, সাইবার হামলা প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়। সাইবার হামলা প্রতিরোধে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সমস্যা সমাধানে তথ্যপ্রযুক্তি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসা হবে। এছাড়া আরো ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির জন্য আরো ৪টি ইন্টারনেট ক্যাবল স্থাপন করা হবে।

আলাপকালে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২০২৫ সালে পাকিস্তানে ৫জি ইন্টারনেট চালু করা হবে। এজন্য ইসলামাবাদ ও করাচিতে দুটি আইটি পার্ক স্থাপন করা হবে। এতে ১০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা নিয়ে এ আইটি পার্ক দুটি স্থাপন করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর