ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ব্যাপক বন্যা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ২২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় আবারও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) শুক্রবার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে ত্রিপুরার দক্ষিণ, উত্তর, উনাকোতি এবং ধালাই বিভাগে (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। অপরদিকে ত্রিপুরার সববিভাগে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, রাজ্যের দক্ষিণ অংশে গোমতী, সিপাহিজলা এবং ধলাই জেলার কিছু জায়গায় স্বল্প থেকে ভারী (২১ সেন্টিমিটার বা তার বেশি) বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ত্রিপুরার বাকি জেলার একটি বা দুটি জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায়ও সেখানে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় ত্রাণ, পুনর্বাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর বলেছে, ‘ত্রিপুরায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরায় (বগাফা: ৪৯৩.৬ মিলিমিটার), সিপাহিজালা (সোনামুরা: ২৯৩.৪ মিলিমিটার), পশ্চিম ত্রিপুরা (আগরতলা: ২৩৩ মিলিমিটার) এবং গোমাইপুরে: ১৫৫ মিলিমিটার)।
আইএমডি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শিগগিরই এই বর্ষণ থামবে না; কারণ বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে একটি নিম্নচাপ তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল থেকে সেটি গঠিত হওয়া শুরু করবে। বঙ্গপোসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরও কয়েকদিন ভারী বর্ষণ হতে পারে ত্রিপুরায়।
প্রবল বৃষ্টির কারণে গোটা রাজ্য বন্যার কবলে পড়েছে। গোমতী, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনাকোটি এবং পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাগুলো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভয়াবহ এ বন্যায় ত্রিপুরায় ২২ জন এবং বাংলাদেশে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে যথাক্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৭ ও ১৪ লাখ মানুষ।